Saturday, September 12, 2015

দুষ্টু শিশুদের সামলাতে করনীয় ।

 http://paimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/400x0x1/uploads/media/2014/04/11/534789b1274e8-SHOUTING-CHILDREN.jpg
শিশুর দুরন্তপনা বা দুষ্টুমি খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু কখনো কখনো এই দুরন্তপনা স্বাভাবিকের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। বইপত্র, খেলনা, ঘরের জিনিস সব কিছু ভেঙে ফেলে কেউ কেউ। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব বাড়িতে বেড়াতে এলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, আবার তাদের বাড়িতে গেলেও একই অবস্থা। শিশু মহলেও এই অতি দুরন্ত শিশুটি ত্রাসের সৃংষ্ট করে। অনেক বাবা-মা এই দুরন্তপনার ব্যাপারটি লক্ষ করতে চান না। তাদের কাছে এটা যেন শিশুর স্বাভাবিক ব্যবহারের অংশ। কিন্তু আসলে তা নয়। অতি দুরন্ত শিশু যখন স্কুলে যায়, তখন স্কুল থেকেও চিঠি আসে অভিভাবকের কাছে যে, তার সন্তান দুরন্ত, অমনোযোগী এবং অন্য শিশুদের এতে সমস্যা হচ্ছে।

এসব দুষ্টু শিশুদের সামলাতে হিমশিম খান বাবা-মায়েরা। অনেক শিশু আবার বাজে বকুকি শিখে ফেলে এবং এগুলো বলতেই থাকে। এ ধরনের অস্বস্তিকার সমস্যা থেকে বাঁচতে কৌশলি হতে হবে আপনাকে। ওদের এ ধরনের অভ্যাস থেকে বের করে আনাটা জরুরি। নয়তো এমন বাজে শৈশব কাটার পর একই ধরনের কৈশোর আসবে তাদের। পরের জীবনেও এর প্রভাব থেকে যাবে। তাই ওদের ছোটকাল থেকেই আপনার অভিভাবক হিসেবে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

বড়দের সঙ্গে ঝগড়া করা বা গালিগালাজ করার অভ্যাস শিশুদের গড়ে ওঠে। এই চর্চা আরো এগোতে থাকে যখন শিশুর এমন আচরণের বিপরীতে বাবা-মায়েরাও বাজে ভাষায় পাল্টা বকুনি দেন। শিশুরাও এভাবে বাবা-মাকে পাল্টা গালি দিতে শেখে।
 http://manchitronews.com/wp-content/uploads/2015/07/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%81-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81.jpg
আগের আমলে শিশুদের কড় শাসনে বড় করতেন বাবা-মায়েরা। আধুনিক অভিভাবকরা সন্তানদের বন্ধু হয়ে উঠতে চান। সন্তানদের প্রতি একটা ভয়ও কাজ করে পিতা-মাতার। তবে বহু আগে থেকেই শিশুর মধ্যে গালিগালাজ প্রবণতা কাজ করে। কড়া শাসনে থেকে রাগ পুষে না রাখতে পেরে আড়ালে গিয়ে বকাবকির অভ্যাস গড়ে ওঠে। আবার এখন বাবা-মা বন্ধুভাবাপন্ন হওয়ার কারণে হয়তো সাহস করে সামনেই বাজে কথা বলে ফেলে সন্তানরা। এমনকি এই অভ্যাস বাড়ি থেকে স্কুল পর্যন্ত চলে যায় এবং সবার সঙ্গে তার চর্চা চলতে থাকে।

আধুনিক বাবা-মায়েরা সবচেয়ে বেশি সমস্যা ভোগ করছেন। এমন কি বদলেছে যার কারণে এমন হচ্ছে? বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানদের সম্পর্ক কি নষ্ট হচ্ছে? মূলত শিশুদের মাঝে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে অভিভাবকত্বের মধ্যে বেশ বদল হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিককালে এমন এক সময় এসেছে যখন সম্পর্কের অনেক দেওয়াল ভেঙে গেছে। বর্তমান যুগে সন্তান ও অভিভাবকের মাঝে এই টানাপড়েনে প্রতিযোগিতা করা অনেকটা পাগলামির মতো। কাজেই বড়দের পক্ষ থেকেই এভানে সাবধান হতে হবে এবং এতে গোটা বিষয়টি থেকে যাবে।

ঝামেলা বেধে গেলে সবচেয়ে কার্যকর উপায়টি হলো, পেছনে ফিরে যাওয়া। অর্থাৎ, কোন বিষয়টি যাবতীয় সমস্যার কারণ তা বাবা-মাকে খুঁজে দেখতে হবে। সন্তানের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে গেছে এবং সেখানে জোর খাটিয়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গেলে বিপদ আরো বাড়বে। তাই এ ক্ষেত্রে আপনি পিছিয়ে যান।

অনেকেই অভিভাবকত্বের জন্যে পরামর্শকের কাছে যান। তারা এ ক্ষেত্রে ভালো পরামর্শ দিতে পারেন। পরামর্শগুলো উপলব্ধি করতে না পারলে আপনিও অভিভাবক হিসেবে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাবেন। এ ক্ষেত্রে সমস্যা আরো বেড়ে যাবে। শিশুদের বোঝাতে হবে। আদর-স্নেহ দিয়ে বোঝালে সহজেই বুঝতে পারে শিশুরা। আপনিও যদি ওদের সঙ্গে রাগ দেখাতে থাকেন, তাহলে আপনাকে প্রতিযোগী মনে করতে পারে ।
দুষ্টু শিশুদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন?
দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক
অ+ অ-প্রিন্ট
<a href='http://bdads.bd-ads.com/ads/www/delivery/ck.php?n=aef65122&cb=INSERT_RANDOM_NUMBER_HERE' target='_blank'><img src='http://bdads.bd-ads.com/ads/www/delivery/avw.php?zoneid=107&cb=INSERT_RANDOM_NUMBER_HERE&n=aef65122' border='0' alt='' /></a>
শিশুর দুরন্তপনা বা দুষ্টুমি খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু কখনো কখনো এই দুরন্তপনা স্বাভাবিকের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। বইপত্র, খেলনা, ঘরের জিনিস সব কিছু ভেঙে ফেলে কেউ কেউ। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব বাড়িতে বেড়াতে এলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, আবার তাদের বাড়িতে গেলেও একই অবস্থা। শিশু মহলেও এই অতি দুরন্ত শিশুটি ত্রাসের সৃংষ্ট করে। অনেক বাবা-মা এই দুরন্তপনার ব্যাপারটি লক্ষ করতে চান না। তাদের কাছে এটা যেন শিশুর স্বাভাবিক ব্যবহারের অংশ। কিন্তু আসলে তা নয়। অতি দুরন্ত শিশু যখন স্কুলে যায়, তখন স্কুল থেকেও চিঠি আসে অভিভাবকের কাছে যে, তার সন্তান দুরন্ত, অমনোযোগী এবং অন্য শিশুদের এতে সমস্যা হচ্ছে। 

এসব দুষ্টু শিশুদের সামলাতে হিমশিম খান বাবা-মায়েরা। অনেক শিশু আবার বাজে বকুকি শিখে ফেলে এবং এগুলো বলতেই থাকে। এ ধরনের অস্বস্তিকার সমস্যা থেকে বাঁচতে কৌশলি হতে হবে আপনাকে। ওদের এ ধরনের অভ্যাস থেকে বের করে আনাটা জরুরি। নয়তো এমন বাজে শৈশব কাটার পর একই ধরনের কৈশোর আসবে তাদের। পরের জীবনেও এর প্রভাব থেকে যাবে। তাই ওদের ছোটকাল থেকেই আপনার অভিভাবক হিসেবে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

বড়দের সঙ্গে ঝগড়া করা বা গালিগালাজ করার অভ্যাস শিশুদের গড়ে ওঠে। এই চর্চা আরো এগোতে থাকে যখন শিশুর এমন আচরণের বিপরীতে বাবা-মায়েরাও বাজে ভাষায় পাল্টা বকুনি দেন। শিশুরাও এভাবে বাবা-মাকে পাল্টা গালি দিতে শেখে।

আগের আমলে শিশুদের কড় শাসনে বড় করতেন বাবা-মায়েরা। আধুনিক অভিভাবকরা সন্তানদের বন্ধু হয়ে উঠতে চান। সন্তানদের প্রতি একটা ভয়ও কাজ করে পিতা-মাতার। তবে বহু আগে থেকেই শিশুর মধ্যে গালিগালাজ প্রবণতা কাজ করে। কড়া শাসনে থেকে রাগ পুষে না রাখতে পেরে আড়ালে গিয়ে বকাবকির অভ্যাস গড়ে ওঠে। আবার এখন বাবা-মা বন্ধুভাবাপন্ন হওয়ার কারণে হয়তো সাহস করে সামনেই বাজে কথা বলে ফেলে সন্তানরা। এমনকি এই অভ্যাস বাড়ি থেকে স্কুল পর্যন্ত চলে যায় এবং সবার সঙ্গে তার চর্চা চলতে থাকে।

আধুনিক বাবা-মায়েরা সবচেয়ে বেশি সমস্যা ভোগ করছেন। এমন কি বদলেছে যার কারণে এমন হচ্ছে? বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানদের সম্পর্ক কি নষ্ট হচ্ছে? মূলত শিশুদের মাঝে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে অভিভাবকত্বের মধ্যে বেশ বদল হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিককালে এমন এক সময় এসেছে যখন সম্পর্কের অনেক দেওয়াল ভেঙে গেছে। বর্তমান যুগে সন্তান ও অভিভাবকের মাঝে এই টানাপড়েনে প্রতিযোগিতা করা অনেকটা পাগলামির মতো। কাজেই বড়দের পক্ষ থেকেই এভানে সাবধান হতে হবে এবং এতে গোটা বিষয়টি থেকে যাবে।

ঝামেলা বেধে গেলে সবচেয়ে কার্যকর উপায়টি হলো, পেছনে ফিরে যাওয়া। অর্থাৎ, কোন বিষয়টি যাবতীয় সমস্যার কারণ তা বাবা-মাকে খুঁজে দেখতে হবে। সন্তানের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে গেছে এবং সেখানে জোর খাটিয়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গেলে বিপদ আরো বাড়বে। তাই এ ক্ষেত্রে আপনি পিছিয়ে যান।

অনেকেই অভিভাবকত্বের জন্যে পরামর্শকের কাছে যান। তারা এ ক্ষেত্রে ভালো পরামর্শ দিতে পারেন। পরামর্শগুলো উপলব্ধি করতে না পারলে আপনিও অভিভাবক হিসেবে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাবেন। এ ক্ষেত্রে সমস্যা আরো বেড়ে যাবে। শিশুদের বোঝাতে হবে। আদর-স্নেহ দিয়ে বোঝালে সহজেই বুঝতে পারে শিশুরা। আপনিও যদি ওদের সঙ্গে রাগ দেখাতে থাকেন, তাহলে আপনাকে প্রতিযোগী মনে করতে পারে তারা। এতে সমস্যা বাড়তেই থাকবে। 
- See more at: http://www.thebengalitimes.com/life-style/2015/07/02/1884#sthash.KAEDGgtK.dpuf

0 comments:

Post a Comment