Saturday, October 31, 2015

পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায়


... নাজিয়া কাইয়ুম

আজকাল অনেকে পড়ার ফাঁকে একটু বিশ্রামের জন্য ফেসবুকে ঢোকেন বা গেম খেলেনযাতে সত্যিকার অর্থে বিশ্রাম হয় না। তার চেয়ে বরং কর্মক্ষমতা বাড়ায় সেরকম ছোট এক টুকরো ডার্ক চকলেট মুখে দিয়ে পছন্দের গান শুনতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারেন। এতে করে মাথাটা খালি তো হবেই এবং পড়াশোনায়ও মনোযোগ ফিরে আসবে।

না পড়লে পড়ে যেতে হয়। কিন্তু পড়ে যেতে কে চায় বলুনপ্রতিযোগীতার এই যুগে নিজেকে সেরাদের দলে টিকিয়ে রাখতে পড়াশুনার চাপ সইতে হয় অনেক। তবে নানা কারণে পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা বেশ কঠিন। এই কঠিন কাজকে সহজ করা সম্ভব মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে পারলে। তাই শিখে নিতে পারেন কিছু সহজ উপায়-
মনোযোগ বাড়াতেপড়তে যখন একদমই ইচ্ছা করে নাতখন কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়লে তা মনে রাখা সহজ হয়। টোসের একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ৩০০ ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে করা এক সমীক্ষার ফলাফল থেকে এই তথ্য জানা গেছে। পরীক্ষায় দেখা যায়যারা বসে পড়াশোনা করেছিলো তাদের তুলনায় দাঁড়িয়ে পড়ুয়াদের মনোযোগ ছিল অনেক বেশি। তাছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে পড়াশোনা নিয়ে আলোচনা করলেও বেশি মনে থাকে।
দায়িত্ববোধছোটবেলা থেকেই যারা অস্থির প্রকৃতিরপড়াশোনা বা অন্য কিছুতেও তেমন আগ্রহ নেই বা মন বসাতে পারেনা তাদের জন্য নিতে হবে বিশেষ ব্যবস্থা। এমন ছেলেমেয়েকে কোনো পোষা প্রাণি কিনে দেয়া যেতে পারে। ছোট ভাই-বোনের কিছুটা দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। এতে তারা কাজের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে পারেআত্মবিশ্বাস বাড়তে পারে। কারণ আত্মবিশ্বাসই পড়াশোনায় মনোযোগ এনে দেবে।
পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের দিতে হবে যথেষ্ট ভিটামিনমিনারেল এবং পানীয় অর্থাৎ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। প্রধান খাবারের ফাঁকে দেশি ফলদুধডিমমিনারেলআয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। মনোযোগ ঠিক রাখতে জার্মানির অনেক স্কুলের টিফিনে আপেল খেতে দেয়া হয়। তাই বাচ্চাদের প্রতিদিন দুয়েকটা করে আপেল খেতে দেয়া যেতে পারে।
মস্তিষ্কের খাবার নানা রকমের বাদামআখরোটসামুদ্রিক মাছশাক-সবজিফলগ্রিন-টিসহ বিভিন্ন চা। এসব খাবার শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। পড়াশোনার মাঝে পাকা টমেটো বা টমেটোর জুসও খাওয়া যেতে পারে। মাত্র ১০০ গ্রাম টমেটোতে পাবেন ২৫ গ্রাম ভিটামিন ‘সি’ এবং পটাশিয়াম। এসব উপাদান মস্তিষ্কের সঠিক গঠন নিশ্চিত করে।
ফাস্টফুডফাস্টফুডে থাকা নানা রকম রাসায়নিক উপাদান অনেকের জন্যই অ্যালার্জির কারণ হয়ে থাকে। এসব উপাদান মনোযোগ এবং শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই আজকের তরুণদের কাছে এসব খাবার প্রিয় হলেও শরীর ও মস্তিষ্কের কথা ভেবে কিছুটা সাবধান হওয়া উচিৎ।
ব্রেনের বিশ্রামআজকাল অনেকে পড়ার ফাঁকে একটু বিশ্রামের জন্য ফেসবুকে ঢোকেন বা গেম খেলেনযাতে সত্যিকার অর্থে বিশ্রাম হয় না। তার চেয়ে বরং কর্মক্ষমতা বাড়ায় সেরকম ছোট এক টুকরো ডার্ক চকলেট মুখে দিয়ে পছন্দের গান শুনতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারেন। এতে করে মাথাটা খালি তো হবেই এবং পড়াশোনায়ও মনোযোগ ফিরে আসবে।
ব্যায়ামগবেষকরা মনে করেনশারীরিক পরিশ্রম অর্থাৎ খেলাধুলা বা ব্যায়াম মানসিক চাপ থেকে সহজে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। ব্যায়াম বা খেলাধুলা করার ফলে শরীরে হরমোনের প্রকাশ ঘটে কিছুটা অন্যভাবে। আর স্বাভাবিকভাবেই তার সু-প্রভাব পড়ে মনোযোগে। পড়াশুনা করাও সহজ হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষেও ভালো ফলাফল করা সম্ভব হবে।
 

sutro ২৮ অক্টোবর বুধবার ২০১৫ খ্রিঃ