সন্তানের সঙ্গে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বা বিব্রত ভাব নিয়ে কথা না বলে বরং খুব সহজভাবে কথা বলুন। তাকে সরাসরি বলুন, “আমি জানি তুমি কি দেখছিলে! আমি এটা নিয়ে বিরক্ত নই। কিন্তু এ বিষয়ে কিছু কথা তোমার জানা দরকার।” এ সময় বাকি কথাগুলো সরাসরি বলার জন্যও মানসিকভাবে তৈরি হন।
আপনার সন্তানের সামনে তুলে ধরুন বাস্তবতা। তাকে জানান, পর্ন স্টাররা বাস্তব নয়। তাদের যে শারীরিক কাঠামো দেখানো হয় তা সার্জারি করে আকৃতি দেওয়া। কোন সাধারণ মানুষ দেখতে এরকম হয় না। কারই আশা করা উচিত না যে, সে দেখতে এরকম হবে অথবা অন্যেরা দেখতে এমন হবে।
বাস্তবে দুইজন মানুষ কখনোই এভাবে একে অপরের কাছে আসে না যেভাবে নীল ছবিতে দেখানো হয়। স্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক ব্যক্তি বিশেষে আলাদা হয়। কোন জুটিই ঘন্টার পর ঘন্টা ইন্টারকোর্স করতে পারে না। আর এই ভাষা, আবেগের প্রকাশ, ভাবভঙ্গী সবই ক্যামেরার সামনে সাজানো নাটক মাত্র।
বেশিরভাগ পর্ন ছবিতে কোন আবেগ দেখানো হয় না। সেখানে মানুষ যন্ত্রের মত একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়। কিন্তু বাস্তবে যৌনতার জন্য প্রয়োজন হয় ভালবাসার। যৌনতার সঙ্গে শুধু ভালবাসা নয়, জড়িয়ে আছে দায়িত্বও। কিন্তু পর্ণ ছবিতে এসব কিছুই দেখানো হয় না। এখানে যা দেখানো হয় তার সবই অতিরঞ্জিত।
একটি মেয়ে যেমন শারীরিক সম্পর্কে যেতে পারে তেমনি নাও যেতে পারে। এটা তার স্বাধীনতা। কিন্তু পর্নগ্রাফিতে পুরুষকে দেখানো হয় নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে এবং নারীকে দেখানো হয় সমর্পিত। বাস্তব জীবনে তা নয়।
সন্তানের সঙ্গে নিয়মিত সহজভাবে এই সব খুটিনাটি নিয়ে আলোচনা করুন। পর্ন আসক্তি একটি ভয়াবহ ব্যাপার। এটি মানুষের মাঝের পশুত্বকে জাগিয়ে তুলতে পারে। তাই আগে ভাগে নিজের সংকোচ কাটিয়ে কথা বলুন। এখনি তাকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনুন।
0 comments:
Post a Comment