মা ব্যস্ত আছেন। এই তো সুযোগ! চটপট আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মুখভর্তি একগাদা লিপস্টিক মেখে নিল ছয় বছরের নোরা। ঠোঁটের বাইরে ছড়িয়ে গেল রং।
সাদা জামাটা দিয়ে মুছে নিল তা।
এই রে, সেরেছে! মা তো চোখ বড় করে পেছনেই দাঁড়িয়ে।
প্রায় সব মায়ের আর ছোট্ট মেয়েদের জন্য এটা যেন হররোজের ঘটনা। অনেকে মজা পেলেও এটি কিছুটা চিন্তারও কারণ বটে। রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন বললেন, শিশুদের সাজলে কোমল বা শিশুসুলভ ভাবটা থাকে না। আর বড়দের প্রসাধনী ব্যবহার করা শিশুদের স্পর্শকাতর ত্বক ও চুলের জন্য ক্ষতিকর। ছোট বয়স থেকেই যদি শিশুরা প্রসাধনী ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে যায়, তাহলে খুব দ্রুতই ত্বক ও চুল নষ্ট হতে থাকবে। তিনি পরামর্শ দিলেন শিশুদের কী কী একদমই ব্যবহার করা ঠিক না।
ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা যাবে না বা বেজ মেকআপ করা যাবে না।
ব্লাশঅন, আইশ্যাডো ও মাসকারা ব্যবহার করা যাবে না। ব্লাশঅন ও শ্যাডো ব্যবহারে ত্বক নষ্ট হয় আর মাসকারা ব্যবহারে চোখের পাপড়ি ভেঙে বা ঝরে পড়ে তাড়াতাড়ি।
গাঢ় রঙা লিপস্টিক ব্যবহার করা ঠিক না। এতে শিশুদের ঠোঁট দ্রুত কালো হয়ে যাবে।
চুলে হেয়ার স্প্রে একদমই ব্যবহার করা যাবে না। এর ব্যবহারে চুল ঝরতে থাকে।
কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায়, কোনো পার্টিতে যাওয়ার আগে মাকে সাজতে দেখে বাচ্চা মেয়েটা হয় গোঁ ধরে বসে থাকে, না-হয় কান্নাকাটি শুরু করে দেয় তাকেও সাজিয়ে দেওয়ার জন্য। তাকে সহজে বোঝানোই মুশকিল। কী আর করা! তানজিমা বললেন এক-আধ দিন পার্টির জন্য শিশুরাও সাজতে পারে। তবে সেটা হবে শিশুসুলভ সাজ। কীভাবে সাজবে তা-ও সহজ করে বলে দিলেন তিনি।
নেলপলিশে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না বলে নখ রাঙাতে বাধা নেই শিশুদের।
ঠোঁটে চাইলে একদমই হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করা যাবে।
*চুলের জন্য পোশাকের সঙ্গে মানায় এমন হেয়ারস্টাইল বেছে নিতে হবে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, শিশুর চুলে যেন টান না লাগে। তাতে ব্যথা তো লাগবেই, চুলও ছিঁড়ে আসবে।
*চুলে বেণি বা ঝুঁটি তো করাই যায়, এ ছাড়া খোলা চুলে রাউন্ড ব্যান্ডও ব্যবহার করা যায়। যাদের লম্বা চুল, তাদের সামনের চুলগুলো পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বা নানা রকম বেণির বুনন করে ছোট ছোট ক্লিপ দিয়ে বাঁধা যায়। পেছনের চুল চাইলে খোলা রাখা যায় কিংবা বেণি বা ঝুঁটিও করা যায়। যাদের ছোট চুল বাধা যায় না, তাদের জন্য বাজারে নানা ধরনের ক্লিপ পাওয়া যায়। শিশুর চুল সাজিয়ে রাখে এই ক্লিপগুলো। ছোট চুলে পরা যায় প্লাস্টিক, ধাতব কিংবা কাপড়ের তৈরি রাউন্ড ব্যান্ডও।
প্রথম আলো
| আপডেট: ০০:০৭, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৫
0 comments:
Post a Comment