Sunday, July 17, 2016
অতিরিক্ত ভিডিও গেমে আসক্ত শিশুরা পরীক্ষায় ফেল করে
আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে তাল মিলিয়ে চলতে সেই ছোট্ট শিশুটির হাতেও আমরা তুলে দেই মোবাইল কিংবা কম্পিউটার। ছোট থেকেই তাকে নানা ধরনের ভিডিও গেম খেলায় অভ্যস্ত করে তুলি। এতে করে আপনার অজান্তেই সন্তানের অনেক ক্ষতি হয়। ছোটবেলা থেকেই ভিডিও গেম খেলার কারণে শিশুরা অনেক দক্ষ হয়ে উঠে। এর ফলে পরবর্ীতে তারা ভিডিও গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। এতে তাদের পড়াশুনায় অনেক ক্ষতি হয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন দাবিই করেছেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, খেলা খারাপ কিছু নয়, কিন্তু এটি মাত্রাতিরিক্ত হলে তা খারাপই বটে।
গবেষকরা বলেছেন, যেসব শিশুরা অতিরিক্ত ভিডিও গেম খেলে তারা প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষায় ফেল করেন। অন্যদিকে যেসব শিশুদের কারিগরি জ্ঞান কম থাকে তারা পরীক্ষায় অনেক ভালো করেন।
গবেষণায় পাঁচ হাজারেরও বেশি শিশুদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ সময় গবেষকরা শিশুরা খেলায় মোট কতটুকু সময় ব্যয় করেন এবং কিছু সময়ের জন্য তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কর্মদক্ষতা পরীক্ষা করে দেখেন। এতে তারা এ দু’য়ের মধ্যে এক ধরনের যোগসূত্র খুঁজে পান।
গবেষকরা দেখতে পান, যেসব শিশুরা কম্পিটারেই তাদের সময় বেশি ব্যয় করেন তারা পড়াশুনায় ততটা ভালো করতে পারেন না। কখনও কখনও তারা ফেলও করেন।
গবেষকরা বলেন, সাধারণত যেসব শিশুরা পিতামাতার কম শাসনে থাকেন তারা ভিডিও গেম বেশি পছন্দ করেন। এরাই পরবর্ীতে পড়াশুনার চেয়ে ভিডিও গেমে বেশি আসক্ত হয়ে পড়েন।
অন্যদিকে যেসব শিশুরা কম্পিউটার ব্যবহার করেন না কিংবা যাদের একেবারে কোন কম্পিউটার নেই তারা পড়াশুনায় অনেক ভালো করেন। আবার যেসব শিশুরা নিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার ব্যবহার করেন তারাও পরীক্ষায় ভালো করেন।
কাজেই গবেষকরা প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনায় ক্ষতি এড়াতে শিশুদের নিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। একইভাবে যেসব শিশুরা তাদের পড়াশুনার চেয়ে কম্পিউটারের প্রতি বেশি আগ্রহ পোষণ করে তাদের প্রতিও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment